বাসে বা ট্রেনে ভ্রমণ করলে কেন ক্লান্ত হই?

বাসে বা ট্রেনে আমরা বসে থাকলেও পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় পরিবেশের সাপেক্ষে আমরা চলমান । একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়ার জন্য শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কে গাড়ির মুভমেন্ট এর সাথে তার posture বা ভঙ্গি পরিবর্তন করতে হচ্ছে। এই posture পরিবর্তনের জন্য ব্রেইনকে অবচেতন মনে শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। সড়কে গাড়ির গতি কখনো বাড়ে , কমে, কখনো থামতে হয়, ডানবামে ঘুরতে হয়। সেজন্য শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্রেইনকেও সার্বক্ষণিক কাজ করতে হয়। সেজন্য অনেকেই ভ্রমণে ক্লান্ত হয়ে পড়েন।

এছাড়া আরো কিছু বিষয় আছে যেমন, রাত জেগে ব্যাগ গুছানো, খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে তৈরি হওয়া,

রাস্তায় জ্যাম ঠেলে বাস বা ট্রেন স্টেশনে যাওয়া, ভারী ব্যাগ বহন করা , টিকিট চেকার বা কুলি বা নিরাপত্তা কর্মীর সাথে ঝগড়া, মনের মত আসন না পাওয়া, সিট আরাম দায়ক না হওয়া, বসার ভঙ্গি ভাল না হওয়া, সময়মত গাড়ি আসতে বা ছাড়তে দেরি হওয়া, গাড়ির ভেতরে অক্সিজেন স্বল্পতা, দুর্গন্ধ , এসবও আমাদের ক্লান্ত করে । তবে মূল কারণ শারীরিক নয় মানসিক.

ট্রেনজার্নিতে গাড়ির গতি হ্রাসবৃদ্ধি কম হয়, তাই বেশি দূরের জার্নিতে অনেকেই সেটা পছন্দ করেন। তবে ভ্রমন জনিত ক্লান্তি ব্যক্তিবিশেষের উপরও নির্ভর করে। বাস বা ট্রেনে নিজের হাতপা নাড়াচাড়ার যথেষ্ট জায়গা থাকতে হয়, ক্লান্তি কিছু কম হয় তখন। বিমানের বিজনেস ক্লাসে অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ভ্রমন করেন সেজন্যই ।

আমাদের দেশে বাস বা ট্রেনে আশেপাশের মানুষের অস্বস্তিকর দৃষ্টিতেও ক্লান্ত হন অনেকে । কেউ আপনাকে সর্বক্ষণ দেখছে এমন মনে হলে শরীর মন ক্লান্ত হয়ে উঠবে সজাগ থাকার জন্য। এসব এড়িয়ে সহযাত্রীদের সাথে মানিয়ে নিতে পারলে যাত্রাটা মধুর হয়, ক্লান্তিও কম হয়।

000011
Today: 11
Yesterday: 20
This Month: 424